আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি সকলে মহান আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন । জমি আমাদের জীবনের একটি গুরুত্ব পূর্ণ সম্পদ। আমাদের মালিকানায় থাকা জমির জন্য রাষ্ট্রকে কর বা খাজনা দিতে হয় ।
প্রত্যেক নাগরিকের রাষ্ট্রের কর বা খাজনা দেওয়া বাধ্যতামুলক । আপনি যদি আপনার দখলে থাকা নিজস্ব জমির কর বা খাজনা আদায় করে থাকেন তাহলে জমি সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় সরকারি সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
আর যদি খাজনা সঠিকভাবে আদায় না করেন তাহলে রাষ্ট্র চাইলে আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।
বাংলাদেশে অতীতে জমির রাজস্ব আদায় করা ছিল একটি অন্যতম ভোগান্তির নাম। কিন্তু বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে যে সকল উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন তার মধ্যে অন্যতম হলো জমির খাজনা অনলাইনে প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
তারই লক্ষ্যে বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয় অনলাইনে জমির খাজনা আদায়ের পদ্ধতি চালু করেন। আমার এই আর্টিকেলে আমি আপনাদেরকে বোঝাবো ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ অনলাইনে বা ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রশিদ ফরম অনলাইন এ কিভাবে পাবেন।
আরও দেখুন – কিভাবে দলিল তল্লাশি অনলাইনে বা জমির দলিল অনুসন্ধান করবেন। এবং জমির পরিমাপ হিসাব শতাংশ বা জমির পরিমাপ করার নিয়ম জানুন ।
ভূমি উন্নয়ন কর কি ?
যেকোনো দেশের সরকারের অর্থ উপার্জনের একটি অন্যতম মাধ্যম হলো রাজস্ব আদায়। আমরা বাংলাদেশের জনগণ যেকোনো পণ্য ক্রয় বা বিক্রয় এর ক্ষেত্রে সরকারকে বিভিন্ন ভাবে রাজস্ব প্রদান করে থাকি।
ঠিক তেমনি জমি জায়গার ক্ষেত্রে জমির মালিক সরকার কে যে রাজস্ব প্রদান করে থাকে তাই ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা। এই রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে রাষ্ট্র ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন উপকরণ ক্রয় ,গবেষণা, উন্নয়ন বা সাহায্য প্রদান করে থাকে।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের একটি সীমারেখা বেঁধে দেওয়া রয়েছে। কোন ব্যক্তির যদি একটি নিদিষ্ট পরিমাণ জমি থাকে তাহলে মালিক কে সেই জমির পরিমাণের ভিত্তিতে জমির খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করতে হয়।
অতীতে যখন জমিদারি প্রথা চালু ছিল তখনও জমির জন্য জমির মালিকের জমিদারদের কর বা খাজনা প্রদান করতে হতো।
জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর স্বাধীন বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার কে জমির মালিকের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কর বা খাজনা প্রদান করতে হয়। যার ফলে রাষ্ট্র উক্ত মালিকের জমি সংক্রান্ত অনেক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকে।
জমির খাজনা দিতে কি লাগে জানুন।
আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে জমির খাজনা প্রদান করতে চান তাহলে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে উক্ত ফর্মে উল্লেখিত তথ্য প্রদান করতে হলে আপনাকে কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে।
যে তথ্যগুলোর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই আপনার কম্পিউটার বা এন্ড্রয়েড মোবাইল দিয়ে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে অনলাইনে জমির খাজনা প্রদান করতে পারবেন। নিম্নে যা যা প্রয়োজন তা উল্লেখ করা হলো।
- জমির খতিয়ান।
- জমির অবস্থান অনুযায়ী বিভাগ , জেলা , উপজেলা , গ্রাম/মৌজার তথ্য।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার।
- টাকা পরিশোধের জন্য যে কোনো অনলাইন মাধ্যম যেমন, বিকাশ, নগদ,ডাচ-বাংলা ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং, রকেট , উপায় ইত্যাদি।
- ইন্টারনেট সংযোগ সহ মোবাইল অথবা কম্পিউটার।
অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার নিয়ম।
অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার নিয়ম অনেক সহজ একটি প্রক্রিয়া । এর জন্য আপনাকে প্রথমে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমি উন্নয়ন কর এর ওয়েবসাইট এ ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এ পর্যায়ে ভূমি উন্নয়ন কর এর ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করার নিয়ম বর্ণনা করা হলো ।
অনলাইনে খাজনা নিবন্ধন কিভাবে করবেন?
অনলাইনে খাজনা নিবন্ধন অর্থাৎ ভূমি উন্নয়ন কর এর ওয়েবসাইটে নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশন করার জন্য উক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরে কয়েকটি অপশন দেখতে পাবেন।
অপশন গুলোর মধ্যে নাগরিক সেবা কর্নার অপশনটিতে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর আপনি নিচের ইন্টারফেসটি দেখতে পাবেন । অথবা আপনি সরাসরি এই লিংক এ প্রবেশ করতে পারেন।
উপরের ইন্টারফেসটির মধ্যে নাগরিক কর্নার অপশন টি তে ক্লিক করুন । ক্লিক করলে আপনি নিচের ইন্টারফেস টি দেখতে পাবেন ।
এখানে আপনি আপনার মোবাইল নাম্বার এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার ও জন্ম তারিখ প্রদান করে পরবর্তী পদক্ষেপ বাটনে ক্লিক করুন ।
তাহলে আপনার মোবাইল নাম্বারে একটি OTP নাম্বার প্রবেশ করবে । পরের পেজে নির্ধারিত স্থানে OTP নাম্বার বসিয়ে ক্লিক করলে আপনি এই সাইটে নিবন্ধিত হয়ে যাবেন ।
ভূমি খাজনা অনলাইন এ কিভাবে প্রদান করবেন?
ভূমি খাজনা অনলাইন এ প্রদান করার জন্য এই ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করার পর এরপর আপনি নাগরিক লগইন বাটন টি তে ক্লিক করে আপনার মোবাইল নাম্বার এবং পাচওয়ার্ড ও দুই সংখ্যার যোগফোল দিয়ে লগইন করতে পারবেন।
লগ ইন করার পর আপনার প্রথম কাজ হবে এন আই ডি ভেরিফিকেশন করা। আপনি যদি এন আই ডি ভেরিফিকেশন না করেন তা হলে আপনার প্রফাইল ১০০% কম্পিলিট হবে না। যার ফলে আপনি অনলাইনে জমির খাজনা আদায় করতে পারবেন না।
তারপর ২য় ধাপে আপনার প্রোফাইল সেটিং করতে হবে। সেজন্য আপনাকে প্রোফাইল অপশনে ক্লিক করে সম্পাদন বাটন এ ক্লিক করুন।
এখানে আপনার ইমেইল ও বর্তমান ঠিকানার অপশনটি অসম্পূর্ণ থাকবে। এরপর আরও যে সকল তথ্য চাওয়া হয়েছে তা ধাপে ধাপে দিয়ে আপনার প্রোফাইলটি একশত ভাগ সম্পন্ন করে নিন।
ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে এখন আপনার অন্যতম প্রধান কাজ হবে আপনার জমির খতিয়ান আপলোড করা। লগ ইন কৃত পেইজে প্রোফাইল অপশন গুলোর মধ্যে খতিয়ান অপশনে ক্লিক করুন।
আপনি একটি ফ্রম দেখতে পাবেন। ফর্ম টিতে যে সকল তথ্য চাওয়া হয়েছে সে সকল তথ্য সঠিক ও নির্ভুলভাবে আপনাকে প্রদান করতে হবে। নিম্নোক্ত ফরমে যে সকল তথ্য চাওয়া হয়েছে তা নিম্নে লেখা হলো।
- জমির অবস্থান অনুযায়ী বিভাগের নাম।
- জমির অবস্থান অনুযায়ী জেলার নাম।
- জমির অবস্থান অনুযায়ী উপজেলার নাম।
- জমির অবস্থান অনুযায়ী মৌজার নাম।
- খতিয়ান নম্বর।
- হোল্ডিং নম্বর থাকলে হোল্ডিং নম্বর।
- আপনার জমির খতিয়ানের স্ক্যান কপি অথবা পূর্বের পর পরিশোধ দাখিলের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করতে হবে। তার জন্য এগুলো স্ক্যান করি আপনার কম্পিউটার অথবা মোবাইলের মেমোরিতে সেভ করে রাখতে হবে। Choose file অপশনটিতে ক্লিক করে পূর্বের রাখা ফাইল সংযুক্ত করতে হবে।
- মালিকানার ধরন যেমন উত্তরাধিকার সূত্রে জমি পেয়ে থাকলে উত্তরাধিকার সনদ এর স্ক্যান কফি সংযুক্ত করতে হবে।
এখন ভালোভাবে যাচাই করে দেখুন সবকিছু ঠিক আছে কিনা। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে সংরক্ষণ করুন বাটনটিতে ক্লিক করুন।
ভূমি খাজনা অনলাইন প্রদান করার জন্য নিয়ম অনুযায়ী সকল তথ্য সহ জমির খতিয়ান আপলোড করার পর ভূমি অফিস কর্তৃক পর্যবেক্ষণ করে হোল্ডিং এন্ট্রি সম্পন্ন করতে ২৪ থেকে ৭২ ঘন্টা সময় লাগতে পারে।
হোল্ডিং ও ভূমি উন্নয়ন করের তথ্য জানুন
আমরা ইতিপূর্বে অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার জন্য ভূমি উন্নয়ন কর রেজিস্ট্রেশন এবং খতিয়ান আপলোড করেছি।
খতিয়ান আপলোড করার ২৪ থেকে ৭২ ঘন্টা পার হয়ে গেলে হোল্ডিং ও ভূমি উন্নয়ন কর এর তথ্য বের করার জন্য আপনাকে পুনারায় ল্যান্ড এই লিংকে প্রবেশ করে নাগরিক কর্নার অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।
তারপর নাগরিক লগ ইন অপশনটিতে ক্লিক করে আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে আপনার প্রোফাইলে প্রবেশ করুন। প্রোফাইলে যে অপশন গুলো আছে তার মধ্যে হোল্ডিং অপশনে ক্লিক করুন ।
খতিয়ান আপলোড হওয়ার পরে হোল্ডিং নম্বর অনুযায়ী জমির পরিমাণ ও নিম্নোক্ত তথ্যগুলি দেখতে পারবেন।
- জমির ঠিকানা
- দাগ নম্বর এবং খতিয়ান
- জমির মালিকের নাম
- পরিমাণ
- কি ধরনের জমি যেমন ভিটা,নালা,ডোবা ইত্যাদি ।
- আপনার জমির খাজনার পরিমাণ।
- ভূমি উন্নয়ন কর সর্বশেষ কবে পরিশোধ করেছিলেন সে তথ্য।
- মোট কত টাকা পাওনা।
- বকেয়া কত টাকা।
- বর্তমানে কত টাকা ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে হবে ইত্যাদি।
কিভাবে জমির খাজনা অনলাইন পেমেন্ট করবেন।
আপনার প্রোফাইলের অপশন গুলোর মধ্যে পেমেন্ট করুন অপশনে ক্লিক করলে পেমেন্ট করার অপশন গুলি দেখতে পাবেন। এখানে আপনি জমির মালিকের নাম এবং কত টাকা পেমেন্ট করতে হবে তাও দেখতে পাবেন।
এবং তার নিচে আপনি কোন কোন মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন সে সকল অপশন গুলি দেখাবে। এ সকল পেমেন্ট মাধ্যমগুলি সাধারণত আপনার মোবাইলের মাধ্যমেই পরিশোধ করতে পারবেন।
আপনি নগদ, বিকাশ ,ডাচ বাংলা, রকেট ,উপায় এগুলোর যেকোনো একটি মাধ্যম সিলেক্ট করতে পারবেন। যেকোনো একটি সিলেক্ট করার পরে ই-পেমেন্ট করুন বাটনে ক্লিক করুন।
যেকোনো একটি পেমেন্ট মাধ্যম সিলেক্ট করে ই-পেমেন্ট করুন বাটনে ক্লিক করার পরে আপনাকে ওই প্রতিষ্ঠানের একটি ওয়েব পেজে প্রবেশ করাবে। আপাতত ধরে নিলাম আপনি বিকাশ পেমেন্ট গেটওয়ে সিলেক্ট করেছেন। তাহলে আপনি নিচের ইন্টারফেস থেকে বিকাশ অপশনে ক্লিক করুন ।
এখানে আপনি আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টের মোবাইল নাম্বার প্রবেশ করান এবং কনফার্ম বাটনে ক্লিক করুন। তারপর আপনার বিকাশ একাউন্ট নাম্বারে একটি ওটিপি মেসেজ যাবে। ভেরিফিকেশন কোডটি পরবর্তী পেজে প্রবেশ করানোর পরে কনফার্ম বাটনে ক্লিক করলে আপনার পেমেন্টের কাজ সম্পন্ন হবে।
জমির খাজনা দেওয়ার রশিদ বা ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রশিদ ফরম ডাউনলোড কিভাবে করবেন।
ভূমি খাজনা অনলাইন এ প্রদান করার কাজ সম্পূর্ণ হলে আপনাকে অবশ্যই আপনার জমির খাজনা দেওয়ার রশিদ বা ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রশিদ ফরম ডাউনলোড করে রাখতে হবে ।
মূলত এটাই আপনার খাজনা দেওয়ার প্রমাণ পত্র। এই খাজনা রশিদটি আপনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের উক্ত ওয়েবসাইট থেকেই পাবেন।
এজন্য আপনার প্রোফাইলে গিয়ে মেনুবার থেকে দাখিলা বাটনটিতে ক্লিক করুন। দাখিলা অপশনে আপনার খাজনা রশিদটি পিডিএফ আকারে দেখতে পাবেন।
এটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট দিয়ে আপনার কাছে রেখে দিবেন। এখানে উল্লেখ্য দাখিলা অপশনে খাজনা রশিদ আসতে কিছ দিন সময় লাগতে পারে।
জাতীয় পরিচয় পত্রের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর কিভাবে প্রদান করবেন?
আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের মাধ্যমে আপনার জমির ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করতে পারেন। এক্ষেত্রে আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পারি। আসুন দেখা যাক কিভাবে জাতীয় পরিচয় পত্রের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করা যায়।
জাতীয় পরিচয় পত্রের মাধ্যমে তুমি উন্নয়ন কর প্রদানের জন্য প্রথম ধাপে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করতে হবে। হোম পেজ থেকে সরাসরি জাতীয় পরিচয় পত্রের মাধ্যমে পেমেন্ট করুন এই বাটনটিতে ক্লিক করুন।
এখন আপনি আপনার জন্য অবস্থান অনুযায়ী বিভাগের নাম, জেলার নাম, উপজেলার নাম মৌজা এবং হোল্ডিং নাম্বার সঠিকভাবে যথাযথ স্থানে প্রবেশ করান। এ সকল তথ্য প্রদানের পর ভালোভাবে যাচাই করে অনুসন্ধান করুন বাটনটিতে ক্লিক করুন।
আপনার প্রবেশ করানো তথ্য সঠিক হলে আপনি হোল্ডিং নাম্বার মালিকের নাম এবং সর্বশেষ ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের তারিখ দেখতে পাবেন। তারপর আপনি এন আই ডি যাচাই বাটনে ক্লিক করুন।
তারপর আপনি আপনার মোবাইল নাম্বার, এন আইডি নাম্বার, জন্ম তারিখ প্রদান করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন । আপনার দেওয়া তথ্য সঠিক হলে জাতীয় পরিচয় পত্রের বিভিন্ন তথ্য যেমন পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখ ইত্যাদি দেখতে পাবেন। ডান পাশে নিচে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
তারপর আপনাকে যে পেয়েছে নিয়ে যাওয়া হবে সেখানে আপনি হোল্ডিং নাম্বার এবং মালিকের নাম ও টাকার পরিমান দেখতে পারবেন।
ই–পেমেন্ট অপশনটিতে ক্লিক করে যেকোনো একটি প্রেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে মোবাইল নাম্বার এবং OTP ভেরিফিকেশন কোড যাচাইয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত টাকা পেমেন্ট করতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে, আপনাকে সরাসরি কোন দাখিলা প্রদান করা হবে না। আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে দাখিলা সংগ্রহ করতে হবে।
জমির খাজনা কত টাকা শতক ২০২৩ বা জমির খাজনা শতকে কত টাকা জানুন।
ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করতে জমির মালিকের অবশ্যই জানা প্রয়োজন জমির খাজনা শতকে কত টাকা বা জমির খাজনা কত টাকা শতক ২০২৩ এ সম্পর্কে।
- ৫-১০ একর পর্যন্ত জমির ক্ষেত্রে প্রথম ৫ একরের জন্য ৫১ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি শতক ৩৬ পয়সা।
- ১০-১৫ একর পর্যন্ত প্রথম ১০ একরের জন্য ২৩১ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি শতক ৬০ পয়সা।
- ১৫-২৫ একর পর্যন্ত প্রথম ১৫ একরের জন্য ৫৩১ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি শতক ৬০ পয়সা।
জমির খাজনা সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নের উত্তর (FAQ)
বাংলাদেশে কত বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করা হয়েছে ?
কৃষি জমির ক্ষেত্রে ২৫ বিঘা পর্যন্ত খাজনা মওকুফ করা হয়েছে। ২৫ বিঘার অধিক থেকে ১০ একর পর্যন্ত জমির প্রতি শতাংশ জমির জন্য ৫০ পয়সা করে মওকুফ করা হয়েছ ।
ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রশিদ ফরম ডাউনলোড কিভাবে করব ?
অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করার পর আপনি https://ldtax.gov.bd এ নাগরিক কর্নার অপশনে নাগরিক লগ ইন করার পর দাখিলা অপশনে ক্লিক করুন । এখানে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রশিদ ফরম ডাউনলোড করতে পারবেন ।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা এতক্ষন আলোচনা করা হলো ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ অনলাইনে বা ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রশিদ ফরম অনলাইন এ কিভাবে পাবেন সে সম্পর্কে ।
আর একটি কথা জেনে রাখা ভালো যে বর্তমানে ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনের মাধ্যমে ছাড়া অন্য কোন উপায়ে পরিশোধ করা যায় না। তাই আপনি যদি ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনের মাধ্যমে পরিশোধ করতে চান তাহলে আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।
আর্টিকেলটি ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হয়েছে সুতরাং আশা করব ভালোভাবে বুঝতে হলে আপনারা আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
যদি কোন বিষয়ে বুঝতে না পারেন অথবা আমাদের কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে কমেন্টসের মাধ্যমে জানালে উপকৃত হব এবং আরো অন্যান্য বন্ধুরা উপকৃত হবে,ধন্যবাদ।