স্ট্যাম্প জমি বন্ধক নামা লেখার নিয়ম pdf বা জমি বন্ধক লেখার পদ্ধতি

স্ট্যাম্প জমি বন্ধক নামা লেখার নিয়ম pdf বা জমি বন্ধক লেখার পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না।

আমাদের এই আর্টিকেলে জমি বন্ধক নামা কিভাবে লেখা যায় সে বিষয়ে এবং জমি বন্ধক সম্পর্কিত নানান বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

উল্লেখ্য হেবা দলিল সম্পর্কে জানতে হেবা দলিলের অসুবিধা এবং হেবা কে কাকে করতে পারে  এই আর্টিকেল টি পড়ুন।

জমি জায়গা আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বর্তমান সমাজে এই জমি জায়গায় জন্যই সব থেকে বেশি মামালা মোকদ্দমার সৃষ্টি জয়ে থকে।

এ সংক্রান্ত সমস্যা বেশিরভাগই তৈরি হতো না যদি আমরা আমাদের জমি জায়গা সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রমের বিষয়ে ভালোভাবে জানতাম।

আমাদের এই সাইটে আমরা জমি জায়গায় বিভিন্ন বিষয়ে লেখার চেষ্টা করে থাকি।

তারই ধারাবাহিকতায় এই পর্যায়ে জমি বন্ধক নামা লেখার নিয়ম বা জমি বন্ধক সংক্রান্ত বিভিন্ন বষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।

আরও দেখুন- কিভাবে দলিল তল্লাশি অনলাইনে বা জমির দলিল অনুসন্ধান করবেন। 

জমি বন্ধক নামা লেখার নিয়ম বা জমি বন্ধক চুক্তি পত্র

এখানে জমি বন্ধক নামা লেখার নিয়ম এর একটি নমুনা দেওয়া হলো।

স্ট্যাম্প জমি বন্ধক নামা লেখার নিয়ম pdf

জমি বন্ধক লেখার পদ্ধতি দেখানোর জন্য একটি জমি বন্ধক চুক্তি পত্র দেওয়া হলো।জমি বন্ধক চুক্তি পত্র বা জমি বন্ধক লেখার পদ্ধতি

১ম পক্ষ দাতাঃ

মোঃ সবুজ হোসেন,পিতাঃ মৃত মোঃ মসলেম উদ্দীন, মাতাঃ মৃতঃ সাহারা খাতুন, গ্রামঃ সোনাকুড়, ডাকঘরঃ কুলাউড়া, উপজেলাঃ কেশবপুর, জেলাঃ মাগুরা, জাতীয় পরিচয় পত্রঃ৫৪৫১৪২৫৫১৪।

২য় পক্ষ গ্রহীতাঃ

মোঃ হাসান আলী,পিতাঃ মোঃবাহার উদ্দীন, মাতাঃ মৃতঃ সফুরা খাতুন, গ্রামঃ কানারালী, ডাকঘরঃ যাদবপুর, উপজেলাঃ কেশবপুর, জেলাঃ মাগুরা, জাতীয় পরিচয় পত্রঃ৬৪৫৬৮৬৫৪৫৫।

পরম করুনাময় মহান আল্লাহ তায়ালার নামে এই চুক্তিপত্র নামা আরম্ভ করিতেছি যে, আমি দাতা মোঃ সবুজ হোসেন, আমার নানা কারনে জরুরী প্রয়োজনে কিছু নগদ অর্থ প্রয়োজন।

যার প্রেক্ষিতে আমার পৌত্রিক সম্পত্তি থেকে ১ (এক) বিঘা জমি যার মৌজা নম্বর সোনাকুড় এবং দাগ নম্বর ৪২।

উক্ত জমি এই বন্দক চুক্তি পত্র মোতাবেক গ্রহীতা মোঃ হাসান আলী এর নিকট হতে দাতা মোঃ সবুজ হোসেন অদ্য ২৭/০১/২০২৫ তারিখে নিম্নক্তো সাক্ষী গনের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের সম্মতিতে নগদ ২,০০,০০০/=( দুই লক্ষ) টাকা গ্রহন করিয়া এই চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হইল।

চলমান পাতা-২

পাতা-২

শর্ত সমূহ

  1. অদ্য ২৭/০১/২০২৫ ইং তারিখ হইতে এই চুক্তি বলবৎ থাকিবে।
  2. এই চুক্তি অনুযায়ী উক্ত জমি সর্ব
  3. নিম্ন ০২ বৎসর গ্রহীতা মোঃ মোঃ হাসান আলীর দখলে থাকিবে।
  4. কোন কারনে গ্রহীতা টাকা ফেরত নিতে চাইলে সর্বনিম্ন ০২ মাস পূর্বে দাতাকে অবহিত করবে।
  5. নিদিষ্ট মেয়াদ শেষে দাতা টাকা ফেরত না দিতে পারলে উক্ত টাকা সম্পুর্ন ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত উক্ত জমির দখল গ্রহীতার নিকট থাকবে।
  6. গ্রহীতা টাকা ফেরত নিতে চাইলে,দাতা যদি টাকা ফেরত দিতে না পারে তাহলে গ্রহীতা উক্ত জমি অন্য কাওকে বন্দক দিতে পারবে না।
  7. গ্রহীতার টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য উভয়ের সম্মতি সাপেক্ষে উক্ত জমি,দাতা পুনারার অন্য কারো নিকট বন্দক রেখে পুর্বের গ্রহীতা কে টাকা ফেরত দিতে পারবে।

আমরা উভয় পক্ষ উক্ত চুক্তির মর্ম উপলব্ধি করে কারো কোন প্রকার প্ররোচনায় না পড়ে এই চুক্তি পত্রে স্বাক্ষর করিলাম।

দাতা

মোঃ সবুজ হোসেন

গ্রহীতা

মোঃ হাসান আলী

স্বাক্ষী গনের স্বাক্ষরঃ

১।

২।

৩।

জমি বন্ধক রেখে লোন দেয় কোন ব্যাংক বা জমি বন্ধক রেখে ব্যাংক লোন

বাংলাদেশের প্রায় সকল ব্যাংক কোন ব্যক্তির জমি বা স্থায়ী সম্পত্তি বন্ধক বা মর্টগেজ এর বিনিময়ে লোন দিয়ে থাকে।

এক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যাংকের একটি নিদিষ্ট পলিসি বা নীতিমালা রয়েছে।

সাধারণত জমি বন্ধক দিয়ে ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে উক্ত জমিটি অবশ্যই আপনার নামে দলিল কৃত হতে হবে।

এছাড়া কি কারনে আপনি লোন নিবেন তার একটি সুনির্দিষ্ট কারন থাকতে হবে।

এজন্য জমি বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে লোন নিতে আপনি আপনার পছন্দের ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন,তারা আপনাকে এ সংক্রান্ত সকল বিষয়ে বুঝিয়ে বলবে।

দোকান বন্ধক নামা লেখার নিয়ম

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

পাঁকা দোকান বন্ধক নামা

১ম পক্ষ দাতাঃ

মোঃমাহাবুর রহমান , পিতা-  মোঃ রহমত আলী, সাং- আসিংড়ী, পোঃবাকড়া , থানা-মনিরাম পুর , জেলা-যশোর, জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা।

২য় পক্ষ গ্রহীতাঃ

মোঃ আব্বাস আলী, পিতা-  মৃত  হোসেন আলী , সাং আসিংড়ী, পোঃবাকড়া , থানা-মনিরাম পুর , জেলা-যশোর, জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা।

পরম করুণাময় মহান আল্লাহ তায়ালার নামে এই পাঁকা দোকান বন্ধক নামা দলিলের আইনানুগ বয়ান শুরু করিলাম।

যেহেতু আমি ১ম পক্ষ নিম্ন তফসিলে বর্ণিত সম্পত্তি ক্রয় সূত্রে মালিক হইয়া উক্ত জমিতে একটি পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করিয়া ভাড়া দিয়া আসিতেছি।

বর্তমানে বিভিন্ন কারনে আমার নগদ টাকার বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় নিম্ন তফসিল বর্ণিত দাগের নং ১৪ হোল্ডিং এর শিওরদাহ বাজারে ২ সাটার বিশিষ্ট পাকা ১টি দোকান ঘর বন্ধক রাখার ই”ছা প্রকাশ করিলে দ্বিতীয় পক্ষ ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকায় বন্ধক নিতে রাজী হন।

সে মোতাবেক অদ্য ১৬/০৫/২৪ইং তারিখে নিম্ন স্বাক্ষরকারী স্বাক্ষীগনের উপস্তিতিতে আমি ১ম পক্ষ আপনি ২য় পক্ষের নিকট মঙ্গলবার হইতে উপরোক্ত ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা নগদ হাতে হাতে গ্রহণ করিয়া বুঝিয়া পাইয়া ও নিম্ন তফসিল বর্ণিত পাকা দোকান ঘরটি বন্ধক রাখিলাম।

চলমান পাতা- ২

পাতা-২

প্রকাশ থাকে যে, আমি প্রথম পক্ষ, আপনি ২য় পক্ষকে বন্ধকী টাকা ফেরত দিতে চাহিলে বা আপনি ২য় পক্ষ যদি আপনার প্রয়োজনে টাকা ফেরত চান তাহলে কম পক্ষে ০২(দুই) মাস পূর্বে এক অপরকে অবহিত করতে হইবে।

উল্লেখ থাকে যে, আপনি ২য় পক্ষ উক্ত পাকা দোকান ঘরটির ভাড়া ভোগ করিবেন এবং আপনার ইচ্ছামত ভাড়াটিয়া পরিবর্তন করিতে পারিবেন।

ইহাতে আমি ১ম পক্ষের কোন প্রকার ওজর- আপত্তি বা দাবী-দাওয়া কিছুই করিতে পারিব না, করিলেও তাহা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।

উল্লেখ থাকে যে, ১ম পক্ষ, ২য় পক্ষকে যতদিন বন্ধকী টাকা ফেরত না দিবেন ততদিন পর্যন্ত ২য় পক্ষ দোকান ঘরগুলিরভাড়া ভোগ করিবেন এবং বিদ্যুৎ বিল সাব মিটার অনুযায়ী পরিশোধ করিবেন।

আরও উল্লেখ থাকে যে, উল্লেখিত ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা হইতে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা পরিশোধের পর অবশিষ্ট ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা দোকানের অগ্রীম হিসাবে জমা থাকিবে এবং টাকা পরিশোধের তারিখ হইতে পরবর্তী ৩ (তিন) বৎসর পর্যন্ত পূর্বে দলিলের ভাড়া অনুযায়ী উক্ত দোকানঘরে ২য় পক্ষ ব্যবসা চালাইয়া যাইবেন।

চলমান পাতা- ৩

পাতা-৩

এতদ্বার্থে  আমি সেচ্ছায় সরল মনে অন্যের বিনা প্ররোচনায় অত্র পাকা  ১টি দোকান ঘরের বন্ধকীনামা দলিল পাঠ করিয়া উপস্থিত স্বাক্ষীগণের  সামনে নিজ নাম স্বক্ষ্র করিয়া দিলাম। স্বাক্ষীগণের নাম ও স্বাক্ষর

১)

২)

৩)

দাতা

মোঃমাহাবুর রহমান

গ্রহীতা

মোঃ আব্বাস আলী

পাঁকা দোকান বন্ধক নামার নমুনা ছবি

পাঁকা দোকান বন্ধক নামা

শেষ কথা

এতক্ষন আলোচনা করা হয়েছে স্ট্যাম্প জমি বন্ধক নামা লেখার নিয়ম pdf বা জমি বন্ধক লেখার পদ্ধতি সম্পর্কে।

এছাড়া জমি বন্ধক চুক্তি পত্র ও জমি বন্ধক রেখে লোন দেয় কোন ব্যাংক বা জমি বন্ধক রেখে ব্যাংক লোন কিভাবে নেবেন তা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেওয়া হয়েছে।

ব্যবসা বনিজ্য বা জমি জায়গা যাই হোক না কেন চুক্তি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই চুক্তি অন্যতম চালিকা শক্তি হলো বিশ্বাস বা ভরসা।

সুতরং প্রতিটা লেন দেন এর ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে চুক্তি করা উচিত যা আপনার লেনদেন কে একটি নিশ্চয়তা ও আইনি সহায়তা প্রদান করে।

Leave a Comment