কিভাবে দলিল তল্লাশি অনলাইনে বা জমির দলিল অনুসন্ধান করবেন। 

অনলাইনে জমির দলিল তল্লাশি করা আমাদের বিভিন্ন কারনে প্রয়োজন হতে পারে। যেমন অনেক সময় আমাদের জমির আসল দলিল হারিয়ে যেতে পারে অথবা পুড়ে যেতে পারে বা পানিতে নষ্ট হয়ে যেতে পারে । এ ছাড়াও বিভিন্ন কারনে জমির দলিল অনুসন্ধান বা পুরাতন দলিল তল্লাশি করতে হতে পারে । 

এমন ও হতে পারে আপনি যে জমির দলিল টি তল্লাশি দিতে চাচ্ছেন তা ১০ বছর বা ২০ বছর পুরানো । এবং সে জমির দলিলের বালাম নম্বর ,পৃষ্টা নম্বর ,দলিল নম্বর কিছুই আপনার জানা নাই । সে ক্ষেত্রে আপনাকে সংশ্লিষ্ট সাব রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে পুরাতন দলিল তল্লাশি দিতে হবে  

আমরা অনেকেই মনে করি  জমি জায়গা সংক্রান্ত সকল বিষয় অনেক জটিল ।  জমি জায়গা সংক্রান্ত সকল বিষয় জটিল মনে হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো জমি জায়গার বিভিন্ন নিয়ম কানুন সম্পর্কে আমরা জানি না । 

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা , আজ আমি আমার এই আর্টিকেলে আপনাদের জন্য আলোচনা করবো কিভাবে আপনি আপনার জমির দলিল তল্লাশি অনলাইনে বা জমির দলিল অনুসন্ধান করবেন সে সম্পর্কে । 

যার ফলে দলিল তল্লাশি দিতে আপনাকে কোন আইনজীবি, দলিল লেখল বা কোন ভেন্ডর কারও কাছে যেতে হবে না আপনি নিজেই আপনার জমির দলিল তল্লাশি দিতে পারবেন । 

আরও দেখুন – অনলাইনে জমি খারিজ করার পদ্ধতি এবং কিভাবে নামজারি আবেদন চেক বা অনলাইন খারিজ চেক করবেন 

জমির দলিল অনুসন্ধান বা জমির দলিল দেখার নিয়ম 

জমির দলিল অনুসন্ধান বা জমির দলিল দেখার আগে আপনাকে জানা প্রয়োজন কিভাবে একটি জমির দলিল তৈরি হয় এবং জমির দলিল সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য । 

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা , একটি দলিল তৈরি করতে প্রথমে দাতা এবং গ্রহীতা কে একসাথে সাব রেজিষ্ট্রী অফিসে যেতে হবে । সাব রেজিষ্ট্রী অফিসে গিয়ে দলিল লেখকের মাধ্যমে দলিল লিখে সাব রেজিষ্টার বরাবর উপস্থাপন করতে হবে । 

সাব রেজিষ্টার দলিল টি দেখে দাতা এবং গ্রহীতা কে যা যা প্রশ্ন করার তা করে এবং লিখিত দলিল টি ভালভাবে যাচায় বাছায় করে দলিল টি রেজিস্ট্রি করে নিবেন । 

সাব রেজিষ্টার কতৃক দলিল টি রেজিস্ট্রি করার পর একটি নিদিষ্ট সময় পর দলিল টি বালামে এন্ট্রি হবে। উল্লেখ্য সকল প্রকার দলিল বালামে এন্ট্রি হয় । এবং বালামে যখন দলিল এন্ট্রি করা হয় তখন দুই টি সূচিপত্র তৈরি করা হয়। একটি সূচিপত্র তৈরি করা হয় দাতা গ্রহিতা এবং দলিলের প্রকৃতি দিয়ে। এবং আরেকটি সূচিপত্র তৈরি করা হয় মৌজা ভিত্তিক দাগ নম্বর দিয়ে। 

আপনি যখন জমির দলিল অনুসন্ধান বা পুরাতন দলিল তল্লাশি দিবেন তখন আপনাকে সূচিপত্র অনুযায়ী দলিল তল্লাশি দিতে হবে  

আপনি এই বালামের সূচিপত্র নিজেই তল্লাশি দিতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন আইনের ৫৭ ধারা অনুযায়ী আপনার স্বার্থ থাকুক বা না থাকুক আপনি নিজেই এই বালামের সূচিপত্র তল্লাশি দিতে পারবেন। 

এজন্য আপনাকে সংশ্লিষ্ট রেজিস্টার বরাবর একটি আবেদন পত্র লিখতে হবে। এই আবেদনটির প্রেক্ষিতে  আপনি নিজেই বালাম বই এর সূচিপত্র নিজেই তল্লাশি করতে পারবেন তবে তার জন্য আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সরকারি ফি পরিশোধ করতে হবে। 

এর সরকারি ফি হচ্ছে প্রথম বছর ২০ টাকা এবং পূর্ববর্তী প্রতি বছরে খরচ ১৫ টাকা করে। এভাবে আপনি যত বছর প্রয়োজন তত বছরের সূচিপত্র অনুসন্ধান করতে পারবেন। পুরাতন জমির দলিল তল্লাশি দিতে বা জমির দলিল অনুসন্ধান এর জন্য আপনি নিজেই যথেষ্ট।

কারণ অনেক সময় অন্যের দ্বারা এই বালাম বইয়ের সূচিপত্র তল্লাশি দিতে গিয়ে ঠিক মত তল্লাশি না দেওয়ার কারণে আপনার কাঙ্খিত দলিলটি খুজে পাওয়া যায় না। সে ক্ষেত্রে আপনাকে আরো বিরম্বনায় পড়তে হয়। 

মনে রাখবেন বালাম বই এ দুটি সূচিপত্র হয়ে থাকে আর আপনি যখন পুরাতন দলিল তল্লাশি বা জমির দলিল অনুসন্ধান করবেন তখন আপনাকে দুটি সূচিপত্রই তল্লাশি করতে হবে। 

এরপর আপনি যদি বালাম বইয়ের সূচিপত্রে আপনার কাঙ্খিত জমির দলিলের তথ্য পেয়ে যান তারপর আপনি বালাম বই পরিদর্শন করতে পারবেন। এই বালাম বই পরিদর্শন খরচ মাত্র ১৫০ টাকা। 

বালাম বই দুই জায়গায় থাকে যেমন সংশ্লিষ্ট সাব রেজিস্ট্রি অফিসে এবং জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে। আপনার জমির রেজিস্ট্রেশনের সময়ের উপরে নির্ভর করবে আপনি কোন অফিসে বালাম এর সূচিপত্র বা পুরাতন দলিল তল্লাশি বা জমির দলিল অনুসন্ধান করতে যাবেন। 

সচারচর যা দেখা যায় তাতে বলা যায় যদি আপনার জমির রেজিস্ট্রেশন এক থেকে তিন বছরের মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে এটি সংশ্লিষ্ট সব রেজিস্ট্রি অফিসে অনুসন্ধান করতে পারবেন। 

আর যদি তিন বছরের আগে হয়ে থাকে তাহলে জেলার রেজিস্ট্রি অফিসে কোন অনুসন্ধান করতে হবে। 

সবথেকে ভালো হয় আপনি আপনার স্থানীয় উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে সেখানকার কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করবেন যে উক্ত অফিসে কত সাল পর্যন্ত বালাম বই বা সূচিপত্র রয়েছে। তাহলে আপনি জানতে পারবেন আপনার জমির রেজিস্ট্রির সূচিপত্র কোথায় গেলে পাবেন। 

নাম দিয়ে জমির দলিল বের করা যায় কিভাবে ? 

আমরা অনেকই নাম দিয়ে জমির দলিল বের করার চেষ্টা করে থাকি । একটি জমির দলিল বের করার জন্য অবশ্যই জমির প্রকৃত মালিকের নাম প্রয়োজন হয় । তবে শুধু মাত্র মালিকের নাম দিয়ে জমির দলিল তল্লাশি করা সম্ভব নয়।  

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি একটি জমির দলিল তৈরি হওয়ার পর তা সংশ্লিষ্ট উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে বালাম বই তে সুচীপত্র আকারে লিপিবদ্ধ থাকে ।  

এ জন্য জমির দলিল বের করতে হলে নাম , খতিয়ান নম্বর , জমি রেজিস্ট্রির সন ইত্যাদি প্রয়োজোন হয় । 

দলিল তল্লাশি অনলাইনে বা অনলাইনে জমির দলিল চেক কিভাবে করব ? 

আপনারা অনেকেই গুগল এ বা ইউটিউবে দলিল তল্লাশি অনলাইনে বা অনলাইনে জমির দলিল চেক লিখে সার্স করেন। হ্যা এটা ঠিক যে বর্তমানে জমি জায়গা সংক্রান্ত অনেক সেবা অনলাইনে পাওয়া যায়।

কিন্তু আপনার জানা উচিত জমির দলিল সংক্রান্ত বিষয় টি স্ব শরীরে রেজিষ্ট্রেশন অফিসে গিয়ে করতে হয়। এবং অনেক সময় সাপেক্ষ একটি প্রক্রিয়া। এখানে দাতা,গ্রহিতা, রেজিস্ট্রি অফিসার এমন অনেক কিছু সংশ্লিষ্ট থাকে। 

দলিল তল্লাশি অনলাইনে বা অনলাইনে জমির দলিল চেক  এটা লিখে সার্স দিলে আপনাকে অনেকে কিছুই দেখায়। যেমন খতিয়ান,পর্চা,রেকর্ড ইত্যাদি ।  

কিন্তু আপনি যা খুজছেন তা ভিন্ন। সুতরাং আমার মতে আপনাকে দলিল তল্লাশি করতে হলে অবশ্যই উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে বা বা জেলা রেজিষ্ট্রেশন অফিসে বালাম বই এর সূচিপত্র তল্লাশি করতে হবে। 

খুব সহজে দলিল তল্লাশির নিয়ম কি জানুন ? 

প্রথমে আপনাকে আপনার জমি সংশ্লিষ্ট উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে জানতে হবে আপনার জমির বালাম বই কোথায় আছে ।

বালাম বই যদি উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে থাকে তা হলে উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল তল্লাশির জন্য আবেদন করতে হবে । 

আর যদি বালাম বই জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে থকে তা হলে জেলা রেজিস্ট্রি অফিস এ দলিল তল্লাশির জন্য আবেদন করতে হবে । এ ক্ষেত্রে আপনাকে নিদিষ্ট পরিমাণ ফি পরিশোধ করতে হবে । 

সুচীপত্র থেকে আপনার জমির পৃষ্টা নম্বর জানতে হবে । তারপর এ সব তথ্য অনুযায়ী আপনার দলিলের সার্টিফাইট কপি তোলার জন্য আবেদন করতে হবে । এ ক্ষেত্রে আপনাকে একটি নিদিষ্ট পরিমাণ ফি পরিশোধ করতে হবে । 

অনলাইনে জমির দলিল তল্লাশি করার উপায় কি জানুন ।

অনলাইনে দলিল তল্লাশি করার উপায় কি তা আমরা অনেকে জানতে চায় । প্রকৃতপক্ষে আমরা অনেকে অনলাইনে দলিল তল্লাশি করার উপায় বাংলাদেশে নেই ।  

দলিল তল্লাশি করার জন্য আপনাকে উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে যোগাযোগ করতে হবে । আর যদি জমি রেজিস্ট্রেশন করার বয়স অনেক বেশি হয় তা হলে জেলা রেজিষ্ট্রেশন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে । 

এ ক্ষেতে উত্তম হলো প্রথমে উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে যোগাযোগ করা । 

পুরনো দলিল বের করার নিয়ম জানুন

পুরাতন দলিল বের করার করার জন্য আপনার জমি সংশ্লিষ্ট জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে আবেদনের প্রেক্ষিতে বালাম বই এর সুচীপত্র পরিদর্শন করতে হবে ।

তার জন্য আপনাকে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে। বালাম বই এর সূচী ২ প্রকারে হয়ে থাকে । অনেক সময় এই দুই প্রকারের সূচীপত্র তল্লাশি দিতে হয় । 

বালাম বই এর সূচী পত্র তল্লাশি দেওয়ার পর পৃষ্টা নম্বর অনুযায়ী বালাম বই পরিদর্শন করতে হবে । বালাম বই পরিদর্শন এর জন্য আপনাকে একটি নিদিষ্ট পরিমাণ ফি পরিশোধ করতে হবে ।  

বালাম বই তে আপনার দলিলের তথ্য পাওয়ার পর উক্ত পৃষ্টা নম্বর অনুযায়ী নকল দলিল তোলার জন্য আবেদন করতে হবে । 

উল্লেখ্য অনেক সময় বালাম বই এর পৃষ্টা ছেড়া থাকে । এই ছেড়া থাকার পেছনে কিছু অসাধু ব্যক্তির যোগসাজস থাকে।এ ক্ষেত্রে আপনাকে কোর্টে মামলা দেয়ের করতে হবে । 

আরও দেখুন-জমির পরিমাপ হিসাব শতাংশ বা জমির পরিমাপ করার নিয়ম জানুন

জমির দলিলের নকল তোলার নিয়ম কি ?

আমরা অনেকই নাম দিয়ে জমির দলিল বের করার চেষ্টা করে থাকি । একটি জমির দলিল বের করার জন্য অবশ্যই জমির প্রকৃত মালিকের নাম প্রয়োজন হয় । তবে শুধু মাত্র মালিকের নাম দিয়ে জমির দলিল তল্লাশি করা সম্ভব নয়।

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি একটি জমির দলিল তৈরি হওয়ার পর তা সংশ্লিষ্ট উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে বালাম বই তে সুচীপত্র আকারে লিপিবদ্ধ থাকে ।  
এ জন্য জমির দলিল বের করতে হলে নাম , খতিয়ান নম্বর , জমি রেজিস্ট্রির সন ইত্যাদি প্রয়োজোন হয় । 

পুরাতন জমির দলিলের নকল তোলার নিয়ম কি ?

পুরাতন জমির দলিলের নকল তোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে আগে জানতে হবে কিভাবে পুরাতন দলিল তল্লাশি বা জমির দলিল অনুসন্ধান করতে হয়।

কারণ এখানে বালাম বই বা সূচিপত্র এর সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে। আপনি আপনার জমির রেজিস্ট্রেশনকৃত বালাম বইয়ের সূচিপত্র নম্বর জানার পরে একজন আইনজীবী বা দলিল লেখক এর মাধ্যমে জমির দলিলের নকল তুলতে পারবেন। 

দলিলের নকল তোলার খরচ কত ?

জমির দলিলের নকল তোলার খরচ খুব বেশি নয়। তবে এটি কোন এলাকার জমি তার উপরে নির্ভর করে। তবে আপনি দুই থেকে চার হাজার টাকার ভিতরে আপনার জমির দলিলের নকল তুলতে পারবেন। 

দলিল তল্লাশি অনলাইনে বাংলাদেশ থেকে কি কিভাবে করব ?

অনলাইনে আপনি দলিল তল্লাশি করতে পারবেন না । এ জন্য আপনাকে আপনার জমির সংস্লিষ্ট উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে যোগাযোগ করতে হবে । যদি অনেক পুরাতন দলিল হয় তা হলে জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে যোগাযোগ করতে হবে ।  

অনলাইনে দলিল চেক করা যায় কি ?

না , অনলাইনে দলিল চেক করা এখন পর্যন্ত যায় না । 

বাংলাদেশের পুরাতন দলিল বের করার নিয়ম কি?

বাংলাদেশের পুরাতন দলিল বের করার নিয়ম হলো , প্রথমে আপনাকে আপনার জমির অবস্থান অনুযায়ী উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে যোগাযোগ করা ।

নিদিষ্ট ফি প্রদান করে বালাম বই থেকে সূচী পত্র অনুযায়ী তল্লাশি দিতে হবে এবং পুরাতন দলিলের নকল তোলার জন্য জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে বালাম বই এর পৃষ্টা নম্বর অনুযায়ী আবেদন করতে হবে । 

অনলাইনে দলিল বের করার নিয়ম কি ?

অনলাইনে দলিল বের করার কোন নিয়ম নেই । বর্তমান সময় পর্যন্ত এখন ও এ ধরনের কোন সিস্টেম চালু হয় নাই । ভবিষৎ এ যদি এ ধরনের কোন নিয়ম চালু হয় তা হলে আপনাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে জানানো হবে । 

শেষ কথা  

বন্ধুরা আজকে আমার এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে পুরাতন দলিল তল্লাশি বা জমির দলিল অনুসন্ধান , জমির দলিলের নকল তোলার নিয়ম, দলিলের নকল তোলার খরচ সম্পর্কে। এছাড়াও আলোচনা করা হয়েছে দলিল তল্লাশি অনলাইনে বা অনলাইনে জমির দলিল চেক লিখে সার্চ করলে আপনারা কি পেতে পারেন। 

আপনি চাইলে আপনার জমির দলিল সম্পর্কে সকল তথ্য আপনি নিজেই বের করতে পারবেন। এই কাজটি যদি অন্য কোন মাধ্যম দিয়ে আপনি করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার আর্থিক ক্ষতি ও সময় নষ্ট হতে পারে। 

সুতরাং জমির দলিল তল্লাশির পরে বালাম বইয়ের সূচিপত্র নম্বর দিয়ে আপনি দলিল লেখক বা কোন উকিল এর মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করে আপনার হারিয়ে যাওয়া জমির দলিলের নকল তুলতে পারবেন। 

আজকের এই আলোচনা থেকে আপনি যদি উপকৃত হন তাহলেই আমার সার্থকতা। আর যদি আমার এই আলোচনার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি ধরা পড়ে অবশ্যই আপনি আমাকে কমেন্টসের মাধ্যমে জানাবেন যাতে সংশোধনের মাধ্যমে আমি সহ অন্যদের উপকার হয়, ধন্যবাদ। 

Leave a Comment