ওয়ারিশ সম্পদ বন্টনের আইন বা ওয়ারিশ জমি বন্টন সম্পর্কে জানা আমাদের প্রত্যেকের প্রয়োজন । জমি জায়গা আমাদের জীবনের একটি গুরুত্ব পূর্ণ সম্পদ। আমরা আমাদের জীবনে যে সকল উপায়ে জমি পেয়ে থাকি তার মধ্যে অন্যতম উপায় হলো উত্তরাধিকার বা ওয়ারিশ সুত্রে জমি পাওয়া ।
আমাদের সমাজে জমি জায়গা সংক্রান্ত যে সকল জটিলতা সৃষ্টি হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো ওয়ারিশ সম্পদ বন্ঠন সংক্রান্ত জটিলতা। এ সংক্রান্ত জটিলতা এতটা গুরুতর হয় যে শেষ পর্যন্ত মামলা মোকাদ্দমা হয়ে থাকে।
এ সকল জটিলতা এড়াতে আমাদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন । আমরা যদি সকলে ওয়ারিশ সম্পদ বন্টনের আইন সম্পর্কে জানি তাহলে ওয়ারিশ সম্পদ বন্টনের ক্ষেত্রে কোন জটিলতা সৃষ্টি হবে না ।
তাই আমাদের উচিত ওয়ারিশ সম্পদ বন্টনের আইন সম্পর্কে জানা একান্ত প্রয়োজন । প্রিয় বন্ধুরা আজ আমি আমার এই আর্টিকেলে ওয়ারিশ সম্পদ বন্টনের আইন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
ওয়ারিশ সম্পদ বন্টনের আইন জানুন
ওয়ারিশ সম্পদ বন্টনের আইন সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের জানা প্রয়োজন। যাতে আমরা আমাদের উত্তরাধীকার সুত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি সঠিক ভাবে বুঝে নিতে পারি ।
নিম্মে ওয়ারিশ সম্পদ বন্টনের আইন সম্পর্কে আলোচনা করা হলো ।
আরও দেখুন- কিভাবে দলিল তল্লাশি অনলাইনে বা জমির দলিল অনুসন্ধান করবেন।
ওয়ারিশ মানে কি
ওয়ারিশ শব্দের অর্থ হলো উত্তরাধিকার । অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যদি মারা যায় তা হলে তার স্থাবর, অস্থাবর সকল সম্পদের অংশিদার হবে এমন ব্যক্তিবর্গ কে ওয়ারিশ বলে । যেমন মৃত ব্যক্তির মা ,বাবা , স্ত্রী,সন্তান , এমন কি ভাইয়ের সন্তান ও বোনের সন্তান ও হতে পারে ।
মুসলিম উত্তরাধিকার আইন ক্যালকুলেটর এবং ইসলামে সম্পদ বন্টনের নিয়ম কি
ইসলামে সম্পদ বন্টনের নিয়ম অনুযায়ী কোন ব্যক্তি যদি মারা যায় তা হলে তার যে সকল সম্পত্তি বন্টন করা হবে তা থেকে কিছু খরচ বাদ দিতে হবে । যেমন তার দাফন কাফন এর খরচ এবং সে যদি কোন ঋণ থাকে ।
এমন ও হতে পারে সে তার স্ত্রীর মোহরনার টাকা পরিশোধ করে নাই সেক্ষেত্রে তার সম্পত্তি থেকে স্ত্রীর মোহরনার টাকা পরিশোধ করতে হবে ।
এর পর মৃত ব্যক্তি যদি কোন ওছিয়ত করে থাকে তাহলে সেটা বাদ দিতে হবে । এক্ষেত্রে ওছিয়ত এর যে বিধি বিধান আছে তা অবশ্যই পালনীয় হতে হবে ।
উপরের উল্লেখিত বিষয় গুলো বাদ দিয়ে যে সম্পত্তি থাকবে সে গুলো ওয়ারিশ সম্পদ বন্টনের আইন অনুযায়ী কোন ব্যক্তি যদি মারা যায় তার বন্ঠন যোগ্য সম্পত্তি হিসাবে গন্য করা হবে ।
মুসলিম উত্তরাধিকার বন্টন কত ভাগে ভাগ করা হয়েছে
মুসলিম উত্তরাধিকার বন্টন অনুসারে ওয়ারিশ কে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায় , যথা –
- নির্দিষ্ট ভোগী
- অবশিষ্ট ভোগী
- আসাবা গন
নিদিষ্ট ভোগী কি ?
নিদিষ্ট ভোগী হলো ঐ সকল উত্তরাধিকারী যাদের ব্যপারে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বর্ননা করেছেন। নিদিষ্ট ভোগী উত্তরাধিকার দের আবার দুটি শ্রেনী তে ভাগ করা হয়েছে । যেমন স্ত্রী শ্রেনী এবং পুরুষ শ্রেনী ।
স্ত্রী শ্রেনী
স্ত্রী শ্রেনীর উত্তরাধিকারী দের মধ্যে আমরা ৮ প্রকারের মানুষ পাব যেমন মৃত ব্যক্তির মা,মেয়ে ,স্ত্রী ,ছেলের মেয়ে ,বোন , বৈমাত্রিয় বোন ,বৈপৃত্তিয় বোন ,দাদি এবং নানী ।
পুরুষ শ্রেনী
পুরুষ শ্রেনীর উত্তরাধিকারী দের মধ্যে আমরা পায় মৃত ব্যক্তির পিতা, স্বামি ,দাদা ,বৈপৃত্তিয় ভাই ।
তবে এখানে মনে রাখার বিষয় হলো কিছু কিছু ব্যক্তি যারা কখনোই উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না যেমন মৃত ব্যক্তির পিতা মৃত ব্যক্তির স্বামী মৃত ব্যক্তির মা মৃত ব্যক্তির মেয়ে।
এবং কোন ব্যক্তিকে হত্যা করা হয় এবং হত্যাকারী যদি তার উত্তরাধিকারীর মধ্যে কেউ হয়ে থাকে তাহলে মৃত ব্যক্তির কোন সম্পত্তি ওই হত্যাকারী পাবে না। উত্তরাধিকারীদের মধ্যে যদি কেউ ইসলাম ধর্ম ত্যাগী হয় তাহলে সে ব্যক্তি উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।
স্ত্রীর সম্পদে স্বামীর অংশ
আমরা এখন স্ত্রীর সম্পদে স্বামীর অংশ কতটুকু তা জানব । স্বামী ২ ভাবে মৃত স্ত্রীর সম্পত্তির ভাগ পেয়ে থাকে । স্বামী কখন ও তার মৃত স্ত্রীর সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবে না । মৃত স্ত্রীর কোন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকলে স্বামী স্ত্রীর সম্পত্তির ১/৪ অংশ পাবে । মৃত স্ত্রীর কোন সন্তান না থাকলে স্বামী মৃত স্ত্রীর সম্পত্তির ১/২ ভাগ পাবে ।
উত্তরাধিকার আইনে স্ত্রীর অংশ কতটুকু
আমরা এখন উত্তরাধিকার আইনে স্ত্রীর অংশ কতটুকু তা জানব । স্ত্রী দুই ভাবে তার মৃত স্বামীর সম্পত্তি পেয়ে থাকে। বিধবা স্ত্রী কোন ভাবে তার স্বামীর সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবে না। মৃত স্বামীর কোন সন্তান বা তাদের পুত্রের সন্তান থাকলে স্ত্রী, স্বামীর সম্পত্তির ১/৮ অংশ পাবে। যদি মৃত স্বামীর কোন সন্তান না থাকে তবে স্ত্রী স্বামীর সম্পত্তির ১/৪ ভাগ পাবে। স্ত্রী একাধিক হলেও সবাই মিলে ১/৪ অংশ সমান ভােবে পাবে।
স্বামী পীড়িত অবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দিলে উক্ত তালাকি স্ত্রীর ইদ্দত কাল এর মধ্যে স্বামী মারা গেলে তালাকি স্ত্রী স্বামীর ওয়ারিশ হবে। কিন্তু স্বামী একইভাবে স্ত্রীর উত্তরাধিকার হতে পারবে না ।
মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশ বন্টন এর নিয়ম
ওয়ারিশ সম্পদ বন্টন সাধারনত কোন ব্যক্তি মারা গেলে হয়ে থাকে । এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশ বন্টন এর নিয়ম সম্পর্কে ।
মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে পিতার অধিকার
- মৃত ব্যক্তির পুত্র কিংবা তার নিচে কেউ থাকলে পিতা মাত্র ১/৬ অংশ পাবে।
- পুত্র না থাকলে কন্যা বা তার নিচে কেউ থাকলে পিতা ১/৬ অংশ এবং অবশিষ্টাংশভোগী হিসেবে সম্পত্তি পাবে।
- পুত্র কন্যা বা পুত্রের পুত্র বা তার নিচে কেউ না থাকলে পিতা আসাবা বা অবশিষ্টাংশভোগী হবে এবং অবশিষ্ট সম্পত্তি পাবে।
মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে মাতার আধিকার
- যদি মৃত ব্যক্তির সন্তান বা পুত্রের সন্তানাদি যত নিম্নেরই হোক অথবা যদি পূর্ণ বৈমাত্রেয় বা বৈপিত্রেয় দুই বা ততোধিক ভাই বা বোন এমনকি একজন ভাই এবং একজন বোন থাকে তাহলে ও ১/৬ অংশ পাবে ।
- যে সকল ক্ষেত্রে মাতা ১/৩ অংশ পায় তা হলো –
যখন মৃত ব্যক্তির কোন সন্তান অথবা পুত্রের সন্তান না থাকে অথবা যখন মৃত ব্যক্তির এক ভাই অথবা এক বোনের বেশি না থাকে। কিন্তু বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায় যে , যদি মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর অথবা স্বামীর সাথে মাতা এবং পিতা থাকে তবে সে ক্ষেত্রে স্বামী বা স্ত্রীর অংশ বাদ দেবার পর যে অংশ বাকি থাকে মাতা তার ১/৩ অংশ পাবে ।
পুত্র সন্তানের অংশ
মৃত ব্যক্তির ছেলে বা ছেলেরা সকল ক্ষেত্রেই সম্পত্তি পেয়ে থাকে। যদি মৃত ব্যক্তির ছেলে ও মেয়ে উভয়ই থাকে সেই ক্ষেত্রে ছেলে বা ছেলেরা মেয়ে বা মেয়েদের থেকে দ্বিগুণ সম্পত্তি পাবে। মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে পিতা-মাতা ও স্বামী স্ত্রী নির্দিষ্ট সম্পত্তি পাওয়ার পর অবশিষ্ট সম্পত্তি ছেলে মেয়ের মধ্যে বন্টন করা হবে। তবে মেয়ে না থাকলে অংশীদারদের অংশ দেওয়ার পর অবশিষ্টাংশভোগী হিসাবে বাকি সম্পত্তি ছেলে বা ছেলেরাই পাবে।
কন্যা সন্তানের অংশ
উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে কন্যারা তিন ভাবে মাতা পিতার সম্পত্তি পেয়ে থাকে। একমাত্র কন্যা হলে তিনি রেখে যাওয়া সম্পত্তির দুই ভাগের একভাগ অংশ পাবে। একাধিক মেয়ে হলে সবাই মিলে সমান ভাগে তিন ভাগের দুই ভাগ অংশ পাবে। যদি পত্র থাকে তবে পুত্র ও কন্যার সম্পত্তির অনুপাত হবে ২:১ ।
অর্থাৎ এক মেয়ে এক ছেলের অর্ধেক অংশ পাবে। কন্যা কখনো পিতা মাতার সম্পত্তি হতে বঞ্চিত হবে না। পিতা মারা গেলে তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় যে সম্পত্তি পেতেন তা তার মৃত্যুর পরও তার উত্তরাধিকারীরা পাবে।
মৃত ব্যাক্তির সম্পত্তিতে তার আপন বোন বা পূর্ণ বোনের অধিকার অধিকার
- মৃত ব্যক্তির যদি একজন আপন বোন থাকে তাহলে সে ঐ ব্যক্তির সম্পত্তির ১/২ অংশ পাবে।
- যদি দুই বা ততোধিক সহদর বোন থাকে তাহলে তারা ঐ সম্পত্তির ২/৩ অংশ পাবে।
- আপন ভাইয়ের উপস্থিতিতে আপন বোন অবশিষ্টাংশভোগী হিসেবে ২:১ হারে সম্পত্তি পাবে ।
- আপন বোন মৃত ব্যক্তির সন্তান, পুত্রের সন্তান যত নিচের হোক, বা পুত্রের উপস্থিতিতে ও সে অংশীদার হতে বাদ পড়ে অবশিষ্টাংশভোগই হিসেবে সম্পত্তি পেতে পারে। কিন্তু ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইনের বিধান মোতাবেক আপন বোন কোন অংশ পাবে না , পুত্রের কন্যায় সব অংশ পাবে।
- মৃত ব্যক্তির পিতা বা দাদা বর্তমান থাকলে সহদর বোন বঞ্চিত হবে।
মৃত ব্যাক্তির সম্পত্তিতে প্রকৃত পিতামহ বা দাদার অধিকার
মৃত ব্যাক্তির কোন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকলে এবং পিতা অথবা নিকটতম পিতার পিতা না থাকলে সত্যিকার পিতামহ ১/৬ অংশ পায় । আর এরা কেউ না থাকলে সত্যিকার পিতামহ অবশিষ্টাংশভোগী অংশ গ্রহণ করবে। কিন্তু পিতা জীবিত থাকলে পিতামহ কিছুই পাবে না ।
মৃত ব্যাক্তির সম্পত্তিতে প্রকৃত নানি/দাদির অধিকার
- মৃত ব্যক্তির মাতা নিকটতম প্রকৃত মাতামহী কিংবা নিকটতম প্রকৃত পিতামহী না থাকলে নানী ১/৬ অংশ সম্পত্তি পাবে।
- মৃত ব্যক্তির মাতা , পিতা নিকটতম প্রকৃত মাতামহী কিংবা নিকটতম প্রকৃত পিতামহী না থাকলে দাদীী ১/৬ অংশ পাবে।
- দাদি ও নানী উভয়ই থাকলে তারা একত্রে ১/৬ অংশ সমানভাবে পাবে।
মহিলাদের সম্পত্তির ওয়ারিশ কারা
মহিলাদের সম্পত্তির ওয়ারিশ হবে ছেলে,মেয়ে, স্বামী,পিতা,মাতা এদের মধ্যে যারা জীবিত থাকবে। ছেলে না থাকলে ভাই বোন ও ওয়ারিশ হিসাবে গন্য হবে।
উত্তরাধিকার ক্যালকুলেটর বা ওয়ারিশ ক্যালকুলেটর
আপনি যদি খুব সহজে ওয়ারিশ সম্পদ বন্ঠনের হিসাব করতে চান তাহলে সরাসরি উত্তরাধিকার এই লিংক এ ভিজিট করতে পারেন।
ওয়ারিশ বন্টন ক্যালকুলেটর বা সম্পত্তি বন্টন ক্যালকুলেটর
আপনি চাইলে মোবাইলের মাধ্যমে একটি APP ব্যবহার করে ওয়ারেশ জমি বন্ঠন করতে পারেন । প্রথমে আপনার মোবাইলের প্লে ষ্টোরে গিয়ে ওয়ারিশ বন্টন ক্যালকুলেটর লিখে সার্স করুন ।
এ্যাপ টি ইন্সল্টল করার পর ওপেন করুন ।
এখানে আপনি প্রয়োজনিয় তথ্য দিয়ে ফলাফল বাটনে ক্লিক করুন ।
বাবা মারা গেলে নাতি কি দাদার সম্পত্তির ওয়ারিশ হবে কি ?
হ্যাঁ , অবশ্যই পাবে । এই আইন টি ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ অনুসারে জারি করা হয়েছে। ইতিপূর্বে এই আইন না থাকায় ১৯৬১ সালের আগে কেউ মারা গেলে সে ক্ষেত্রে এই আইন কার্যকর হবে না ।
মহিলাদের সম্পত্তির ওয়ারিশ হবে কারা ?
মহিলাদের সম্পত্তির ওয়ারিশ তারই হবে যারা সাধারনত ওয়ারিশ হিসাবে গন্য যেমন- জীবিত স্বামি , সন্তান , পিতা-মাতা ইত্যাদি।
স্বামী মারা গেলে সম্পত্তির ওয়ারিশ হবে কারা ?
স্বামী মারা গেলে সম্পত্তির ওয়ারিশ হবে জীবিত স্ত্রী, সন্তান , পিতা-মাতা ইত্যাদি।
বাবা মারা গেলে সম্পত্তির ওয়ারিশ হবে কারা ?
বাবা মারা গেলে সম্পত্তির ওয়ারিশ হবে জীবিত মা, ভাই-বোন , সৎ মা , বৈমাত্রিয় ভাই-বোন , দাদা-দাদি ইত্যাদি
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজকে এই আর্টিকেলে আংশিকভাবে আলোচনা করা হয়েছে ওয়ারিশ সম্পদ বন্টনের আইন সম্পর্কে। এখানে আরো কয়েকটি বিষয় আলোচনা করা বাকি রয়েছে। তবে যেটুকু আলোচনা করা জরুরী এবং প্রয়োজনীয় সেটুকু আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে।
বন্ধুরা আমার এই আলোচনার ভিতর যদি কোন ভুল থেকে থাকে তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং কমেন্টসের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। আপনার মূল্যবান কমেন্টসের মাধ্যমে আমি সহ আরো অন্যান্য পাঠক বন্ধুরা উপকৃত হবে ধন্যবাদ।