নতুন ভোটার আবেদন অনলাইন বা অনলাইনে করার নিয়ম সম্পর্কে এই পেজে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে যা আপনি খুব সহযে বুঝতে পারবেন।
আমরা বর্তমানে বাংলাদেশে যে সময়ে বসবাস করছি সে সময়ে এন আই ডি কার্ড বা ভোটার আই ডি কার্ড অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিষ ।
বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে একটি নিদিষ্ট বয়স সীমা পার হলে প্রায় সকল ক্ষেত্রে এন আই ডি কার্ড বা ভোটার আই ডি কার্ড এর ব্যপক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে ।
সাধারণত গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কতৃক একটি নিদিষ্ট সময়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে থাকে । তখন আপনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কাউন্সিলে এন আই ডি কার্ড বা ভোটার আই ডি কার্ড করতে পারেন ।
কিন্তু আপনি যদি কোন কারনে ঐ সময় বাড়ি না থাকেন তা হলে এন আই ডি কার্ড বা ভোটার আই ডি কার্ড করতে ব্যর্থ হতে পারেন ।
তাই পরবর্তিতে আপনাকে একক ভাবে এন আই ডি কার্ড বা ভোটার আই ডি কার্ড করতে হতে পারে ।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি কিভাবে আপনি অনলাইনে ভোটার আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে ।
ভোটার আবেদন করার ধরন
এ পর্যায়ে আমরা জানব ভোটার আবেদন করার ধরন সম্পর্কে । সাধারণত দুই ধরনে আপনি ভোটার আবেদন করতে পারবেন ।
প্রথমত আপনি আপনার নিদিষ্ট এলাকার উপজেলা বা জেলা নির্বাচন অফিসে সরাসরি যোগাযোগ এর মাধ্যমে ।
দ্বিতীয়ত আপনি নিজে অনলাইনে ভোটার আবেদন করে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সংযুক্ত করে আপনার নিদিষ্ট এলাকার উপজেলা বা জেলা নির্বাচন অফিসে জমা দেওয়ার মাধ্যমে ।
নতুন ভোটার আবেদন অনলাইন করার জন্য কি কি লাগবে ?
এখানে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য কি কি লাগবে বলতে এখানে দুই ধরনের বিষয় বোঝানো হচ্ছে ।
যেমন নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আপনার কি কি যোগ্যতা লাগবে এবং নতুন ভোটার হওয়ার জন্য কি কি লাগবে অর্থাৎ কি কি কাগজ পত্র লাগবে ।
তাই এখনে এই দুটি বিষয়ে আলোকপাত করা হলো।
নতুন ভোটার হওয়ার জন্য যা যা যোগ্যতা লাগবে তা হলো –
১। আপনাকে অব্যশই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
২। যে সময় ভোটার হবেন সে সময় আপনার বয়স সর্বনিম্ন বয়স ১৬ হতে হবে।
৩। এর আগে কখনো ভোটার নিবন্ধন করেন নি এমন ব্যাক্তি হতে হবে ।
নতুন ভোটার হওয়ার জন্য কি কি লাগবে বা কি কি কাগজ পত্র লাগবে
১। অনলাইনে আবেদনের কপি বা পূরণ কৃত আবেদনের কপি ।
২। জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেটের ফটোকপি ।
৩। বাবা-মায়ের ভোটার আইডি কর্ডের ১ কপি করে ফটোকপি
৪। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ পত্র বা লেখাপড়া না থাকলে প্রয়োজন নেই ।
৫। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কতৃক স্বাক্ষরিত প্রত্যায়ন পত্র।
৬। নাগরিক সনদ পত্র।
৭। রক্তের গ্রুপ পরিক্ষার রিপোর্ট ।
৮। বাড়ির বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি ১ কপি ।
অনলাইন ভোটার আবেদন করার প্রক্রীয়া-
আমরা অনেকেই জানি অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ভোটার আবেদন করা যায় । তবে এটা জানিনা কিভাবে আবেদন করতে হয় । মজার ব্যপার হলো অনলাইন ভোটার আবেদন করার প্রক্রীয়া অনেক সহজ ।
এ পর্যায়ে আমি আলোচনা করতে যাচ্ছি আবেদনের প্রক্রীয়া সম্পর্কে –
অনলাইনে ভোটার আবেদন করার নিয়ম জানুন
অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে । এই লিংকে প্রবেশ করার পরে আপনি এমন একটি ইন্টারফেস দেখতে পাবেন ।
হপেজে আপনি দুটি অপশন দেখতে পাবেন , নতুন নিবন্ধনের জন্য আবেদন বক্সের আবেদন করুণ বাটন টি তে ক্লিক করুন । ক্লিক করার পরে আপনি এমন একটি ইন্টারফেস দেখতে পাবেন।
এই পেজে আপনার পুরো নাম , জন্ম তারিখ এবং ছবিতে থাকা অস্পষ্ট অক্ষর টি বসিয়ে বহাল বাটনে ক্লিক করুন । তার পর এমন একটি পেজ দেখতে পাবেন ।
এই পেজে আপনি আপনার মোবাইল নম্বর বসিয়ে বার্তা পাঠান বাটনে ক্লিক করুন । পরের পেজ টি এমন দেখতে পাবেন ।
এখানে আপনি আপনার মোবাইলে প্রবেশ করা ওপিটি কোড টি বসিয়ে বহাল বাটনে ক্লিক করুন । ক্লিক করার পরে পরের পেজ টি এমন দেখতে পাবেন ।
এখানে আপনি আপনার নাম এবং পাসওয়ার্ড সেট করে বহাল বাটনে ক্লিক করুন । এর সাথে আপনার একটি প্রফাইল তৈরি হবে ।
এখান থেকে আপনি বিস্তারিত প্রফাইল বাটনে ক্লিক করুন । তারপর আপনি একটি ফর্ম দেখতে পাবেন । মূলত এখনি আপনার নতুন ভোটার আবেদন এর মুল কার্যক্রম শুরু হলো ।
কিভাবে অনলাইনে ভোটার আবেদন ফরম পুরুন করবেন বা নতুন ভোটার আবেদন ফরম 2024
উপরে উল্লেখিত নিয়ম মেনে আপনি এই পর্যায় পর্যন্ত আসলে আপনি অনলাইনে ভোটার আবেদন ফরম টি পেয়ে যাবেন ।
বন্ধুরা আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে এই ফর্ম টি খুব সতর্কতার সহিত পুরুন করতে হবে । কোন প্রকার ভুল হলে আপনার এন আই ডি কার্ডে ভুল আসতে পারে । ফর্ম টি পুরুন করার জন্য আপনাকে এই পেজে এডিট বাটনে ক্লিক করুন ।
ফর্ম টি ভালভাবে পুরন করার পরে পরবর্তি বাটনে ক্লিক করুন । তার পরে আপনি এমন একটি পেজ দেখতে পাবেন ।
এখানে অন্যান্ন তথ্য এবং পরবর্তি পেজে ঠিকানা সঠিক ভাবে প্রদান করে পরবর্তি বাটনে ক্লিক করুন । পরবর্তি পেজে এমন একটি ইন্টারফেস দেখতে পাবেন ।
এখানে আপনার কাগজ পত্রের প্রয়োজন নেই লেখা দেখতে পাবেন । কারন কাগজপত্র আপনাকে উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে । এই পেজে আপনাকে পরবর্তি বটনে ক্লিক করতে হবে । ক্লিক করার পর আপনি এমন একটি পেজ দেখতে পাবেন ।
আপনার ফর্ম টি সঠিক ভাবে পুরুন করেছেন কি না তা নিশ্চিত করুন এবং সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।
ক্লিক করার পরে আপনি একটি ফর্ম দেখতে পাবেন । এখন আপনি এই ফর্ম টি ডাউনলোড করবেন । প্রিন্ট করার পরে এই ফর্মের ৩২ নম্বর কলামে আপনি কেন ইতিপূর্বে ভোটার হতে পারেন নি মানে বাদ পড়ার কারন উল্লেখ করতে হবে।
এবং ৩৩ নম্বর কলামে আপনার সাক্ষর এবং ৩৪ নম্বর কলামে আপনার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর এন আই ডি নম্বর এবং সিল সহ স্বাক্ষর নিতে হবে ।
সর্বশেষ আপনাকে এই আবেদন টি উপরে উল্লেখিত কাগজপত্র সহ উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে ।
কিছু দিন পরে আপনাকে ছবি ও আঙুলের ছাপ দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে ডাকা হবে ।
অনলাইনে ভোটার আবেদন করতে কি কি লাগে?
জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট
শিক্ষাগত যগ্যতার সার্টিফিকেট
পিতা মাতার ভোটার আই ডি কার্ডের ফটোকপি
বিদ্যুৎ বিলের কাগজের ফটোকপি
কর পরিশোধের রশিদ ( যদি থাকে)
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করা কি কঠিন?
না কোন কঠিন কাজ নয়। আপনি যদি উপরের লেখা গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে খুব সহজে আপনি অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করতে পারবেন । আর তা ছাড়া আপনি যদি নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদনের নমুনা ফরম পেতে চান তা হলে ভোটার আবেদন ফরম ডাউনলোড এই পোষ্ট টি পড়তে পারেন।
অনলাইনে ভোটার আবেদন ফরম কোথায় পাব ?
এই ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন করার পরে লগ ইন করে আনলাইনে আপনি ভোটার আবেদন ফরম পেয়ে যাবেন ।
শেষ কথা
বন্ধুরা এতক্ষণ আলোচনা করা হয়েছে অনলাইনে ভোটার আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে । আমার এই আলোচনার মধ্যে যদি কোন প্রকার ভূল হয়ে থাকে তা হলে কমেন্টস এর মাধ্যমে জানাবেন যাতে আমি সহ অন্যান্ন পাঠক বন্ধুদের উপকার হবে , ধন্যবাদ ।